চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নে অটো বোরাকের ব্যাটারী চোর ধরে বিপাকে পরেছে গ্রামবাসী। গত সোমবার রাতে দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডে থেকে হাসান নামের এক চোরকে আটক করে গ্রামবাসী। আটকের পর বিয়য়টি নিয়ে চোর কিশোরের পরিবার গ্রামবাসীসহ গৃহস্থকে চাঁদাদাবীর অভিযোগে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়। গৃহসস্থ আবুল কালাম জানান, আমি একজন অটো বোরাক চালক সম্প্রতি সময়ে আমার অটো বোরাকের দুই ব্যাটারী নিয়ে যায় কিাশোর হাসানসহ কয়েকজন চোর চক্র।
এনিয়ে স্থানীয় মিন্টিজকে সন্দেহ করা হয়।তবে মিন্টিজ চোরির বিষয়টি অস্বীকার করে নিজকে চোরির অপবাদ থেকে মুক্ত করতে ওই কিশোর হাসানকে সোমবার রাতে মিন্টিজ সন্দেহজনক ভাবে তাকে আটক করেন। ব্যাটারী চুারির অভিযোগের সত্যতা নেন। পরে আমাকেসহ গ্রামবাসী আবদুল মালেক জমদার ও মোঃ সালামসহ গ্রামবাসীদের খবর দেয় । এবং ওই কিশোর হাসানের বাবা, মা, ভাইকেও খবর দেয়। কিশোরের পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীদের সামনেই চোর কিশোর ব্যাটারী চুরির দায় স্বাীকার করেন। তখন তার পরিবার আমার চুরি যাওয়া ব্যাটারীর জড়িমনা বাবদে তাদের পুরানো দুই ব্যাটারী গ্রামবাসীর সামনে মেম্বারের হাতে তুলে দেয়। আমি আমার চুরি যাওয়া ব্যাটারী এখনও বুঝে পাইনি। এর পরে মোচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়। কিশোর চোরের পরিবার আমাদেরকে ফাঁসানোর উদেশ্যে হুমকি দেয়। এনিয়ে তাদের সাথে গ্রামবাসীর কথার কাটাকাটি হয়। এর সুত্র ধরে চোরের পরিবার আমার ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। তখন আমার সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তবে তাকে বেঁধে নির্যাতনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। তবে চোর পরিবার আমাদেরকে ফাঁসাতে পরের দিন হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।
স্থানীয়রা রাতেই আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই কিশোর চোর হাসান ইতিপুর্বে এলাকায় হাঁস মুরগি, ছাগল ও মোবাইলসহ অনেক কিছু চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এনিয়ে এলাকার গন্যমান্যরা একাধিক শালিশ করেন। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে ওই কিশোর গ্যাংরা এসব অপকর্ম করে যা”্ছনে। এরা গ্রামবাসী গন্যমান্যদের ফাঁসাতে মাদকের সাথে জড়িত আছেন বলে অভিযোগও তুলেন ওই চক্র। অভিযোগ প্রসঙ্গে কিশোর হাসানের বাবা আমির হোসেন মাঝি জানান, আমার ছেলে হাসানকে চুরির অপবাদ দেয়ায় আমারা প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা করে মারধর করেন। ইউপি সদস্য বশির আহমেদ জানান, এবিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। চেয়ারম্যান বিষয়টি সুষ্ঠ সামাধান দিবেন বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply